আমি আবু সাদমান সৌমিক। ফাউন্ডার সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছি otulon.com নামের একটি ই-কমার্স ওয়েব সাইটে।
গ্রেজুয়েশন সম্পন্ন করেছি চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (USTC) কম্পিউটার সাইন্স ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে। এরপর Royex Technology নামে একটি দুবাই ভিত্তিক সফটওয়্যার কোম্পানিতে জুনিয়র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগদান করি। হঠাৎ একদিন Entrepreneurship এর চিন্তা মাথায় আসলো। Royex এর চাকরি ছেড়ে দিয়ে otulon.com এর ডিজাইন ও কোডিং এ লেগে গেলাম। বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে পণ্য otulon.com এর মাধ্যমে অর্ডার করলে তা ক্রেতার নিকট অতিদ্রুত সময়ে পৌঁছে যায়। otulon.com এ আমাদের প্রথম অর্ডার এসেছিল সুদূর মালয়েশিয়া থেকে; যা আমাদের অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করেছিল। পরবর্তীতে Era-InfoTech ও রকমারি.কম এ চাকরির অফার আসে। কোনো একটি কারণে করা হয়ে উঠে নি।
নিজেকে আমি অভিজ্ঞ প্রোগ্রামার হিসেবে দাবি করি না। কিন্তু আজ প্রোগ্রামিং এর যা কিছু জানি তা শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমিস্টারে সুকান্ত স্যারের হাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের আগে প্রোগ্রামিং নিয়ে কোন ধারণাই ছিল না। সুকান্ত স্যারই আমাকে ও আমাদের প্রোগ্রামিং টিমকে প্রথম প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ধারণা দেন। প্রথম সেমিস্টারেই স্যার আমাদের চুয়েটে পাঠালেন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায়। সেই প্রতিযোগিতা থেকে ফিরে নিজেদের অবস্থা বুঝলাম এবং আরো মনোযোগ দিয়ে প্রোগ্রামিং অনুশীলন করা শুরু করে দিলাম। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা কালে অনেক কনটেস্টে অংশগ্রহণ করি। আমার জীবনে স্মরণীয় মুহূর্ত গুলোর মধ্যে অন্যতম মুহূর্ত ছিল শাহরিয়ার মনজুর স্যারের স্বাক্ষর সংবলিত ইনভিটেশন পাওয়ার সময়টি। এই ইনভিটেশন ছিল বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব প্রবলেম সেটার্স এর পক্ষ থেকে। তারা সারা দেশ থেকে ২৫০ জন প্রতিযোগীকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় আরো বেশি দক্ষ প্রতিযোগী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে একটি ক্যাম্পের আয়োজন করে। এই ক্যাম্পে অনেক দক্ষ প্রোগ্রামারদের সংস্পর্শে আসার সুযোগ পাই।
আজ otulon.com গড়ে তোলার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুয়েল স্যারের অনেক অবদান আছে। স্যার Entrepreneur হিসেবে চিন্তা-চেতনা গড়ে তুলতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছেন আমাকে। জুয়েল স্যার ও ডিপার্টমেন্টের বড় ভাই, পলাশ ভাই আমাকে Microsoft, India এর প্রধান সদর দপ্তরে একটি ট্যুরের ব্যবস্থা করে দেন। এই ট্যুর আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। এই ট্যুরের মাধ্যমে বুঝেছি যে Microsoft এর মত প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে হলে একজনকে শুধু প্রোগ্রামিং এ দক্ষ হলেই হয় না, সাথে আচার-আচরণে মানবিক গুন সম্পন্ন হতে হয়। সেখানকার ইঞ্জিনিয়ারদের ধর্য্য ও নিষ্ঠা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ সময়টুকু প্রোগ্রামিং প্রবলেম সলভিং এ ব্যায় করলেও কখনো ব্লগ লেখার ব্যাপারে চিন্তা করি নি। এই ব্লগে বিশেষ করে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা রিলেটেড কনটেন্ট থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্স যেমন ডাটা স্ট্রাকচার বা এলগোরিদম সম্পর্কে ধারণা পাবে।
সৃষ্টি কর্তার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি সবকিছুর জন্য।
No comments:
Post a Comment